Advertisement
Google search engine

বিবাহ করুন, পরকীয়া নয়: সততা ও দায়িত্বশীল সম্পর্কের আহ্বান matrimony

“বিবাহ করুন, পরকীয়া নয়” এই বাক্যটি সমাজে বৈবাহিক বিশ্বস্ততা, নৈতিকতা ও পারিবারিক মূল্যবোধের গুরুত্বকে তুলে ধরে। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়সহ সকল ধর্মীয় ও সামাজিক গোষ্ঠীর জন্য এটি একটি প্রাসঙ্গিক বার্তা। নিচে এর তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিক দিকগুলি আলোচনা করা হলো:


১. বৈবাহিক সম্পর্কের পবিত্রতা

হিন্দু ধর্মে বিবাহকে একটি “সংস্কার” (পবিত্র বন্ধন) হিসাবে দেখা হয়, যা শুধু দুজন মানুষের নয়, দুটি পরিবার ও পূর্বপুরুষের আত্মারও মিলন। পরকীয়া বা অবৈধ সম্পর্ক এই পবিত্রতাকে ভঙ্গ করে, সমাজে অস্থিরতা ও অবিশ্বাস তৈরি করে।

  • ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ: হিন্দু শাস্ত্র (যেমন মনুস্মৃতি, মহাভারত) অবৈধ সম্পর্ককে নিন্দা করে এবং বিবাহিত জীবনে সততা ও দায়িত্বের উপর জোর দেয়।
  • সামাজিক প্রভাব: পরকীয়ার ফলে পরিবার ভেঙে যাওয়া, সন্তানের মানসিক ক্ষতি, এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্মানহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

২. বিবাহে আস্থা ও সংলাপের গুরুত্ব

বিবাহিত জীবনে সংঘাত বা একঘেয়েমি এড়াতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খোলামেলা সংলাপ ও পারস্পরিক সম্মান জরুরি।

  • সমস্যা সমাধান: কোনো অসম্পর্কিত তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার পরিবর্তে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে পরিবার বা কাউন্সিলরের সাহায্য নিন।
  • যৌনতা ও আবেগ: বৈবাহিক সম্পর্কে শারীরিক ও মানসিক চাহিদা পূরণের জন্য একে অপরের প্রতি সংবেদনশীল হোন।

৩. পরকীয়ার সামাজিক ও আইনি পরিণতি

  • সামাজিক নিন্দা: বাংলাদেশের সমাজে পরকীয়াকে গর্হিত অপরাধ হিসাবে দেখা হয়, যা ব্যক্তি ও পরিবারের সম্মান নষ্ট করে।
  • আইনি ঝুঁকি: বাংলাদেশে পরকীয়া সরাসরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়, কিন্তু এটি “প্রতারণা” বা “হিন্দু বিবাহ আইন”-এর অধীন বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। এছাড়া, পারিবারিক সহিংসতা বা সম্মানহানির মামলারও শিকার হতে পারেন।

৪. বিবাহকে পুনরুজ্জীবিত করার উপায়

  • সময় দিন: দৈনন্দিন ব্যস্ততার মধ্যে সঙ্গীর জন্য সময় বের করুন, একসাথে ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিন।
  • ধর্মীয় চর্চা: পূজা-পার্বণ বা ধর্মীয় রীতিনীতি একসাথে পালন করে আধ্যাত্মিক বন্ধন শক্তিশালী করুন।
  • পরিবর্তনকে স্বাগত জানান: জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পর্কের গতিপথ বদলায়। এই পরিবর্তনগুলিকে মেনে নিয়ে নতুনভাবে সম্পর্ক গড়ে তুলুন।

৫. যুবসমাজের ভূমিকা

  • দৃষ্টান্ত স্থাপন: তরুণ প্রজন্ম যদি বিবাহিত জীবনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে এগিয়ে যায়, তবে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া সচেতনতা: ভার্চুয়াল জগতে “ফ্লার্টিং” বা অস্পষ্ট সম্পর্ক থেকে দূরে থাকুন। বাস্তব জীবনে দায়িত্বশীল আচরণ করুন।

৬. সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব

  • বিবাহ前 শিক্ষা: তরুণদের জন্য বৈবাহিক দায়িত্ব, যৌন স্বাস্থ্য ও সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা।
  • কাউন্সিলিং সেবা: বৈবাহিক সমস্যা সমাধানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা সরকারি সংস্থার মাধ্যমে পরামর্শ প্রদান।

উপসংহার:
বিবাহ করুন, পরকীয়া নয়” কেবল একটি নৈতিক স্লোগান নয়, এটি সামাজিক স্থিতিশীলতা ও মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তি। বিবাহিত জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে সংলাপ, ধৈর্য ও প্রেমের মাধ্যমে মোকাবিলা করাই হলো সত্যিকারের সমাধান। সমাজের প্রতিটি সদস্যের এগিয়ে আসা উচিত বৈবাহিক বিশ্বস্ততা ও পারিবারিক সম্মান রক্ষায়।

matrimonials

matrimony

marriage media

Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here