বিয়ে একটি মানুষের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিয়ে শুধু মাত্র যে দুইটি মানুষের একসাথে হবার বিষয় তা নয়। এর সাথে জড়িয়ে আছে দুইটি পরিবারের মেলবন্ধন। আর তাই এই সময়টিকে স্মরণীয় করে রাখতে আপনার যথাযথ পদক্ষেপই পারে আপনাকে একটি অসাধারণ বিয়ের স্মৃতি দিতে। বিয়ের অনেক ব্যস্ততার মধ্যে হয়ত আপনি ভুলে যেতে পারেন আপনার আবশ্যিক করণীয় কিছু কাজ। আর তাই আপনাকে মনে করিয়ে দিতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
আপনার বিয়ের জন্য কিছু খুঁটিনাটি টিপসঃ
- ১. বিয়ের তারিখ ঠিক করার আগে অবশ্যই আপনার চাকরি বা ব্যবসা ব্যস্ততার অবস্থা বুঝে তারিখ ঠিক করুন। অবশ্যই চেষ্টা করুন যাতে দিনটি বন্ধের দিনে থাকে। তাহলে তা সবার উপস্থিতির জন্য সুবিধাজনক।
- ২. বিয়ের আগে অফিস থেকে পর্যাপ্ত ছুটি নিন। বিয়েতে মানুষের ব্যস্ততা বেশি থাকে। আর তাই জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অফিস থেকে একটু বেশি সময়ের জন্য ছুটি নিন।
- ৩. শেষ মুহূর্তে তারাহুরো করে কেনাকাটা না করে আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কিনতে থাকুন। অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে সাহায্য নিন যে কোন জিনিস কোথায় কম দামে ভালো পাওয়া যায়।
- ৪. সকল জিনিসকে একটি ডায়রীতে লিপিবদ্ব করুন যাতে কোন কিছু ভুলে না যান। ভুলে যাওয়া জিনিসগুলো পরে বও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
- ৫. দুই পরিবারকে কয়েকবার একসাথে বসার ব্যবস্থা করুন যাতে তাদের মাঝে হৃদ্যতার বন্ধন তৈরী হয়। দুই পরিবার যত কাছাকাছি হতে পারবে আপানদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্পর্ক তত দৃঢ় হবে।
- ৬. চেষ্টা করুন যাতে বিয়ের খরচ যত কমানো যায়, কারন বিয়ের পর আপনার দৈনন্দিন জীবনের খরচ আরো বেড়ে যায়। সকল বিয়ের খরচ একটা বাজেটের মাঝে শেষ করার চেষ্টা করুন।
- ৭. বিয়ের স্মৃতিকে ধরে রাখতে একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার ও ভিডিওগ্রাফার খুঁজে বের করুন। চেষ্টার করুন পরিচিত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় কিনা।
- ৮. আজকাল কমিউনিটি সেন্টার খুঁজে বের করা ও তার খাবারে মান নিশ্চিত করা খুব কঠিন কাজ। এই বিষয়ে আপনার পরিবারের মুরুব্বীদের সাহায্য নিন। আপনার বিয়ের দায়িত্ব বয়োজ্যেষ্ঠদের উপর দিন।
- ৯. যাতায়াতের জন্য নিজের গাড়ি না থাকলে রেন্ট-এ-কার থেকে ভালো মানের গাড়ি নিন যাতে আপনার খরচ কমে। দেখা যায় শুধু গাড়ি ভাড়া দিতেই বিয়ের একটি বিশাল খরচ চলে যায়।
- ১০. যদি বিয়ের পরে হানিমুনে যাবার ইচ্ছা থাকে তাহলে তা আগেই বুক করে রাখুন। সেরা প্যাকেজটি বিয়ের পরে নাও পেতে পারেন।
যদিও বিয়ের সকল বিষয় সেভাবে লিখে তুলে ধরা সম্ভব না তারপরও উপরের ১০টি টিপস আপনার বিয়ের সময়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও অবশ্যই পালনীয়।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিজেকে ও আপনার পরিবারকে নিরাপদে রাখুন।